পদ্মা রিসোর্ট

মুন্সীগঞ্জ জেলার পদ্মা নদীর পাড়ে গড়ে উঠা নয়নাভিরাম একটি রিসোর্টের নাম পদ্মা রিসোর্ট। যারা কর্মব্যস্ত শহরের গন্ডি পেরিয়ে কিছুটা সময় প্রকৃতি আর নদীর সান্নিধ্যে কাটাতে চান তাদের জন্য এটি আদর্শ একটি স্থান। জীবনের শত ধরাবাঁধা নিয়ম, শব্দ আর বায়ুদূষন, নাগরিক কোলাহল থেকে কিছুটা প্রশান্তি এনে দিতে পারে পদ্মা নদীর মাঝখানে জেগে উঠা চরে গড়া নির্মিত এই পদ্মা রিসোর্ট। পরিবার নিয়ে কিংবা বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতে উঠার জন্য এটি আদর্শ একটি জায়গা। ঢাকা থেকে পদ্মা রিসোর্ট এর দূরত্ব মাত্র ৫০ কিলোমিটার। সাথে গাড়ি থাকলে যেতে সময় লাগে দেড় ঘন্টা। পদ্মা রিসোর্ট গড়ে উঠেছে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার লৌহজং থানার পাশে পদ্মা নদীর বুকে।

কিভাবে যাবেন পদ্মা রিসোর্ট

পদ্মা রিসোর্টে যেতে হলে ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে প্রথমে লৌহজং আসতে হবে। ঢাকার গুলিস্তান থেকে ছেড়ে আসা গাংচিল অথবা ইলিশ পরিবহনে সরাসরি লৌহজং থানা মসজিদ পর্যন্ত আসতে পারবেন। ভাড়া নিবে জনপ্রতি ৭০ টাকা। মিরপুর ১০, ফার্মগেট বা শাহবাগ থেকে যেতে পারবেন স্বাধীন পরিবহনে। অথবা মাওয়া ঘাট রুটের বাস ‘গ্রেট বিক্রমপুর’ কিংবা ‘গোধুলী’ গেলে নামতে হবে মাওয়া ঘাটের আগেই লৌহজং থানায় যাওয়ার চৌরাস্তার মোড়ে। সেখান থেকে রিকশা বা অটোরিকশাতে ১৫ মিনিটের পথ। আর নিজের গাড়ি নিয়ে গেলে সরাসরিই যাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে দুই জায়গায় ৬০ টাকা টোল দিতে হবে।

পদ্মা রিসোর্টে যা আছে

এখানে রিসোর্টের বাইরে আছে বিচ চেয়ার। যেখানে হেলান দিয়ে আপনি উপভোগ করতে পারবেন পদ্মা পারের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য। পদ্মা রিসোর্টের রয়েছে নিজস্ব ঘোড়া। ঘোড়ায় চড়েও আপনি ঘুরে বেড়াতে পারবেন চাইলে। রিসোর্টের ভিতরে বেশ খানিকটা জায়গা নিয়ে আছে সুসজ্জিত রেস্টুরেন্ট। এখানে ১২০ জন পর্যন্ত বসতে পারে। যারা নৌকা ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি ভালো একটি জায়গা। রিসোর্টের নিজস্ব স্পিডবোট ও রিভারক্রুজের ব্যবস্থা আছে। কান্ট্রিবোটে উঠা যায় একসাথে ২০/২৫ জন। আর যাদের নদীতে মাছ ধরার শখ আছে তারা ফিশিং বোটেও চড়তে পারেন। সব বোটেই সেফটি কিট হিসেবে লাইফ জ্যাকেট আছে।

খাবারের ব্যবস্থা

খাবারের জন্য পদ্মা রিসোর্টে দৃষ্টিনন্দন রেস্টুরেন্ট আছে। সুপরিসর জায়গা নিয়ে করা এই রেস্টুরেন্টে অনায়াসে ২০০ জন মানুষ খেতে পারে। আপনি চাইলে এখানে লাঞ্চ বা ডিনার পার্টির আয়োজন করতে পারবেন। রেস্টুরেন্টে ঢোকার আগে ৩৫০টাকা দিয়ে ফুড টোকেন সংগ্রহ করতে হবে রিসোর্ট অফিস থেকে। লাঞ্চে থাকবে ভাত, ডাল, ইলিশ ফ্রাই, মুরগীর মাংস, সবজি সালাদ। আলাদা ভাবে কিনতে হবে মিনারেল ওয়াটার। দাম পড়বে প্রতি লিটার ৪০ টাকা। আর সকালের নাস্তায় খরচ পড়বে জনপ্রতি ১০০ টাকা। মেনু হিসেবে থাকবে পরোটা, সবজি, ডিম, চা।

পদ্মা রিসোর্ট থাকার খরচ

সারাদিন থাকতে চাইলে এখানে কটেজ ভাড়া পড়বে ভ্যাটসহ ২৩০০ টাকা। সারাদিন এবং একরাত কাটাতে চাইলে ভ্যাটসহ গুনতে হবে ৩৪৫০ টাকা। পদ্মায় ঘুরে বেড়ানোর জন্য স্পিডবোট নিলে ঘন্টাপ্রতি পড়বে ২৫০০ টাকা। সাম্পান নৌকায় ১২০০ টাকা। আর ট্রলারে খরচ হবে ১২০০ টাকা।

পদ্মা রিসোর্ট এর কটেজ সমূহ

থাকার জন্য এখানে ১৬ টি ডুপ্লেক্স কটেজ আছে। এর মধ্যে ১২টির নামকরণ করা হয়েছে বাংলা ১২ মাসের নামে। আর বাকি ৪টা ঋতুর নামে। প্রতিটি কটেজে একটি মাস্টারবেড রুম, দুইটি সিঙ্গেল বেডরুম, এবং একটি ড্রয়িংরুম আছে। আছে দুইটি ব্যালকনি এবং একটি বাথরুম। একটি কটেজে সর্বোচ্চ ৮ জন থাকতে পারবেন। কটেজের চাল দেওয়া হয়েছে সুন্দরী পাতা দিয়ে। ডুপ্লেক্স এইসব কটেজের নিচতলায় রয়েছে একসেট সোফা, টেবিল এবং একটি সিঙ্গেল বেড। শীতে এখানে বাহারী রঙের ফুল ফোটে। আর বর্ষায় পদ্মার অপরূপ রূপ দেখা যাবে রিসোর্টে বসেই।

ভ্রমণ টিপস

পদ্মা রিসোর্ট ঢাকার কাছাকাছি হওয়ায় এখানে প্রচুর পর্যটক ঘুরতে আসে। তাই আসার জন্য আগে থেকে বুকিং দিয়ে আসলে বিড়ম্বনায় পড়তে হবেনা। পর্যটন সম্পর্কিত হোটেল রিসোর্ট সমূহের ভাড়া, যানবাহন ভাড়া এবং অন্যান্য খরচ পরিবর্তিত হতে পারে সময়ের সাথে। তাই ভ্রমণ পরিকল্পনা করার আগে সর্বশেষ খরচ সম্পর্কে জেনে নিন।

যোগাযোগ
পদ্মা রিসোর্ট, লৌহজং – মুন্সীগঞ্জ
ফোন: 01712-170330, 01625-788920
ইমেইল: info@padmaresort.net
ফেসবুক : fb.com/ATrueFamilyVacation

ঢাকার আশেপাশে ডে ট্যুর

ঢাকার কাছাকাছি ডে ট্যুর এর জন্য রয়েছে অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো সাভারের সাদুল্লাপুর এর গোলাপ গ্রাম, দোহারের মৈনট ঘাট, কেরানিগঞ্জের সারি ঘাট,  ইত্যাদি। সবগুলো ডে ট্যুর এর বিস্তারিত এখানে দেখুন। জয়েন করতে পারেন গ্রিন বেল্ট ট্রাভেলার্সদের নিয়মিত আড্ডাস্থল ফেসবুক গ্রুপ Green Belt The Travelers ‘এ।

আরো পড়ুন

ছুটি রিসোর্ট

ছুটি রিসোর্ট এর অবস্থান ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান ঘেঁষে গাজীপুরের সুকুন্দি গ্রামে। প্রায় ৫০ বিঘা জায়গা নিয়ে এই রিসোর্টটি গড়ে উঠেছে। এখানে রয়েছে নৌ ভ্রমণ এর ব্যবস্থা। বিরল প্রজাতির বৃক্ষরাজির সমন্বয়ে গড়ে উঠা এখানকার সংরক্ষিত বনে তাঁবু টানানো আছে। এখানকার দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে নানান মৌসুমি ফল। যেগুলো বিনামূল্যে সরবরাহ করে কতৃপক্ষ। অতিথিদেরকে সকালে পরিবেশন করা চালের রুটি অথবা চিতই পিঠা। সাথে সবজি ডাল ভুনা আর মুরগির মাংস। খুব কাছ থেকে বিল ঝিলের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন এখানে। ছুটি রিসোর্ট এর বড় আকর্ষণ এখানকার মাছ ধরার ব্যবস্থা। নির্দিষ্ট ফি এর বিনিময়ে রিসোর্টের লেকে মাছ ধরতে পারবেন। এইসব আয়োজন আপনাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে নিজের শৈশবে!

কিভাবে যাবেন ছুটি রিসোর্ট

ছুটি রিসোর্ট যাওয়ার জন্য প্রথমে গাজীপুর চৌরাস্তা আসতে হবে। সেখান থেকে নিজস্ব পরিবহন বা যাত্রীবাহী বাসে করে গাজীপুর ডিসি অফিস (রাজবাড়ী) এর সামনে আসতে হবে। সেখান থেকে তিন কিলোমিটার পূর্বে আমতলী বাজারের কাছে সুকুন্দি গ্রামে সুকুন্দি গ্রামে ছুটি রিসোর্ট এর অবস্থান।

কি দেখবেন

দৃষ্টিনন্দন এই রিসোর্টে রয়েছে ছনের ঘর, রেগুলার কটেজ, বার্ড হাউজ, মাছ ধরার ব্যবস্থা, আধুনিক রেস্টুরেন্ট, ঔষুধি গাছের বাগান, অর্গানিক ফলের বাগান, ফুল বাগান ইত্যাদি। এছাড়া দুইটি খেলার মাঠ, দুইটি পিকনিক স্পট, গ্রামীণ পিঠা ঘর। এখানে সারাদিন পাখির ডাক শোনা যাবে। সন্ধ্যা নামলে জোনাকি পোকার মিছিল, ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক। জোছনা রাতে এই রিসোর্টটি আপনার আরো ভালো লাগবে। রিসোর্টের নিয়ম অনুসারে এখানে জোছনা রাতে বাইরের বাতি জ্বালানো হয়না! জোছনা রাত কিংবা বৃষ্টির সময় এখানে একটা রাত কাটানো যেতেই পারে!
ছুটি রিসোর্ট এর ভিতরে রয়েছে একাধিক বড় লেক। এগুলো দেখলে মনে হবে বিশাল আকারের কোনো বিল ঝিল! দর্শনার্থীদের জন্য এখানে ক্রিকেট ফুটবল ও ব্যাডমিন্টন খেলার ব্যবস্থা আছে।

কোথায় খাবেন

ছুটি রিসোর্টে ট্রেডিশনাল বাংলা খাবার, ইন্ডিয়ান, থাই, চাইনিজ খাবারের জন্য রয়েছে দীঘির জল লেকভিউ রেস্তোরা। এছাড়া স্ন্যাক্স, বারবিকিউ, জুস কিংবা ট্রেডিশনাল পিঠার জন্য এখানে একটি ক্যাফে পুল রয়েছে। স্পেশাল অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য এখানে আছে ছায়াবিথী হল। সেখানে আপনার মতো খাবার কাস্টমাইজ করতে পারবেন।

ছুটি রিসোর্ট এ থাকার খরচ

থাকার জন্য মোট ১১ ধরণের রুম আছে ছুটি রিসোর্টে। এখানে আপনি আপনার পছন্দমতো রুম বেছে নিতে পারবেন। রুম গুলোর ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছে উডেন কটেজ, ঐতিহ্য কটেজ, ডুপ্লেক্স ভিলা, ডিলাক্স টুইন, ভাওয়াল কটেজ, ফ্যামিলি কটেজ, এক্সিকিউটিভ স্যুইট কিংবা প্লাটিনাম কিং। এই রিসোর্ট এর সবচেয়ে ব্যায়বহুল রুমটির নাম রয়েল স্যুইট।

রিসোর্ট এর রুম ভাড়া পড়বে ২৪ ঘন্টার জন্য ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা। রয়্যাল স্যুইট ১৭ হাজার টাকা। কনফারেন্স রুম ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। এবং পিকনিকের জন্য ১০০ থেকে ২০০ জনের ভাড়া ৯০ হাজার টাকা। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অফিসিয়াল মিটিং কিংবা ওয়ার্কশপ করতে চাইলে সেই ব্যবস্থাও এখানে আছে।

ডে আউট প্যাকেজ

সর্বনিন্ম ৭ থেকে ৮ জন হলে এখানে ডে আউট প্যাকেজ নিতে পারবেন। এই প্যাকেজের মধ্যে পাবেন সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, দেশীয় পিঠা, বিশ্রামের জন্য এসি রুম সহ আরো সুযোগ সুবিধা। এক্ষেত্রে জনপ্রতি গুনতে হবে ২৫৩০ টাকা। এই প্যাকেজ নিতে চাইলে আগে থেকে যোগাযোগ করতে হবে।

ছুটি রিসোর্ট ভ্রমণ এর আগে

হোটেল রিসোর্ট রুম বা যানবাহন ভাড়া সিজন ভেদে পরিবর্তন হতে পারে। তাই যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া সমপর্কে জেনে নিন। হিডেন চার্জ সমূহ সম্পর্কে জেনে নিন। খাবারের দাম সম্পর্কে একটা ধারণা নিয়ে রাখতে পারেন যাওয়ার আগে। আপনার রুম এর সাথে কমপ্লিমেন্টারি হিসেবে কোন কোন সুবিধা পাবেন সেটাও জেনে নিন। এখানকার লেক কিংবা সুইমিং পুলে নামার ব্যপারে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। রিসোর্টে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন রয়েছে। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাকুন।
যোগাযোগ :
ছুটি রিসোর্ট
সুকুন্দি গ্রাম, আমতলী, জয়দেবপুর, গাজীপুর
ফোন: 01777-114488, 01777-114499
ইমেইল: info@chutibd.com
ফেসবুক : facebook.com/chutiresort

ঢাকার আশেপাশে ডে ট্যুর

ঢাকার কাছাকাছি ডে ট্যুর এর জন্য রয়েছে অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো মানিকগঞ্জের বালিয়াটি জমিদার বাড়ি, গাজীপুরের বেলাই বিল, সাভারের সাদুল্লাপুর এর গোলাপ গ্রাম ইত্যাদি। সবগুলো ডে ট্যুর এর বিস্তারিত এখানে দেখুন। জয়েন করতে পারেন গ্রিন বেল্ট ট্রাভেলার্সদের নিয়মিত আড্ডাস্থল ফেসবুক গ্রুপ Green Belt The Travelers ‘এ। ছুটি রিসোর্ট সম্পর্কে আরো কোনো তথ্য আপনার জানা থাকলে আমাদেরকে জানাতে পারেন।

আরো পড়ুন

সেন্টমার্টিন হোটেল রিসোর্ট রিভিউ

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দ্বীপ সেন্টমার্টিন। ১৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই দ্বীপে থাকার জন্য ছোট বড় প্রায় ১৫০টি হোটেল রিসোর্ট রয়েছে। সেন্টমার্টিন যেহেতু শুধুমাত্র শুকনো মৌসুমে যাওয়া যায়, তাই অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত এখানে পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকে। সেন্টমার্টিন রিসোর্ট হোটেল সমূহে থাকার জন্য রুম ভাড়া ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০০০ টাকা পর্যন্ত। বন্ধের দিন গুলোতে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে চাইলে আগে থেকে হোটেল রিসোর্ট বুকিং করা লাগে।

সেন্টমার্টিনের রিসোর্ট সমূহ

সেন্টমার্টিনে থাকার জন্য যে রিসোর্ট সমূহ রয়েছে সেগুলোকে অবস্থানের ভিত্তিতে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। পূর্ব বিচ এর রিসোর্ট, পশ্চিম বিচ রিসোর্ট, এবং উত্তর বিচ রিসোর্ট। এর মধ্যে পশ্চিম বিচ হলো সেন্টমার্টিনে থাকার জন্য সবচেয়ে ভালো। উত্তর বিচ হলো জেটি ঘাট এর কাছে বাজার এরিয়া। যারা কম বাজেটে রুম চাচ্ছেন তারা এই রিসোর্টে থাকতে পারেন। সেন্টমার্টিনে থাকার অনেকগুলো হোটেল ও রিসোর্ট আছে। এগুলোর ভাড়া সিজন ভেদে উঠানামা করে। তবে ডিসেম্বর জানুয়ারি ফেব্রুয়ারীতে ভাড়া সর্বোচ্চ থাকে। সেন্টমার্টিন ভ্রমণে আগে থেকে হোটেল-রিসোর্ট কনফার্ম করে যাওয়াই ভালো। কারণ সিজনের সময় সপ্তাহর মাঝামাঝিতেও ভালো রিসোর্ট গুলোতে রুম ফাঁকা থাকেনা।

ছবি : দ্বীপান্তর বিচ রিসোর্ট
দ্বীপান্তর বিচ রিসোর্ট: ভিউ ফ্যাসিলিটিজ ও কোয়ালিটি বিবেচনায় এটি সেন্টমার্টিনের সবচেয়ে সেরা রিসোর্ট। সমুদ্র লাগোয়া এই রিসোর্টের স্থাপত্যশৈলী চমৎকার। আলাদা আলাদা বিচ কটেজ বাদেও এখানে রয়েছে কাঠের ডুপ্লেক্স রুম। রয়েছে কাঠের দোতলা রেস্টুরেন্ট। যেখানে খোলা ছাদে বসে গায়ে সমুদ্রের হাওয়া মেখে সমুদ্র উপভোগ করা যায়। ফ্যামিলি নিয়ে থাকার জন্য এটি সবচেয়ে ভালো। রিসোর্টে রুম ভাড়া রুম ভেদে ৪০০০  থেকে ৮০০০ টাকা। স্টুডিও রুম ৪০০০ টাকা, এক্সক্লুসিভ কটেজ ৫০০০ টাকা, প্রিমিয়াম কাপল কটেজ ৬০০০ টাকা, এবং  ডুপ্লেক্স কটেজ ৮০০০ টাকা।
ফেসবুক পেজঃ Dwipantor Beach Resort
গুগল ম্যাপঃ Dwipantor Beach Resort
ফোন নাম্বার:  01886-363232, 01884-710723
এসকেডি রিসোর্ট: এই রিসোর্টটি পশ্চিম বিচের চমৎকার একটি বিচ রিসোর্ট। শান্ত নিরিবিলি পরিবেশে সমুদ্র পাড়ের এই রিসোর্টটি পরিবার নিয়ে থাকার জন্য বেশ ভালো। তবে এটি জেটি ঘাট থেকে বেশ দূরে। এখানে রুম ভাড়া পাওয়া যাবে ২৫০০ থকে ৩৫০০ টাকায়। ফোন নাম্বার: 01717000966
ব্লু মেরিন রিসোর্ট : সেন্টমার্টিনের আরেকটি সুন্দর রিসোর্ট হলো ব্লু মেরিন রিসোর্ট। এখানে আরো কিছু বাড়তি সুযোগ সুবিধা ব্যবস্থা আছে যেমন পার্টি জোন, হল রুম ইত্যাদি। কর্পোরেট ট্যুরের জন্য এটি বেশি ব্যবহৃত হয়। রুম ভাড়া ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা।
ফোন নাম্বার: 01713-399001
সীমানা পেরিয়ে রিসোর্ট: এই রিসোর্টের অবস্থান পশ্চিম বিচে, ভ্যানে করে যেতে হবে। এতে চোদ্দটি রুম ও একটি নিজস্ব রেস্ট্যুরেন্ট আছে। এর ভাড়া এক হাজার পাঁচশো থেকে দুই হাজার পাঁচশো টাকা।
ফোন নাম্বার: 01911-121292
কোরাল ভিউ রিসোর্ট: এই রিসোর্টটি নৌবাহিনী পরিচালনা করে। এটি সেন্টমার্টিনের পূর্ব বিচে। জেটি থেকে বেশ খানিকটা দূরে বলে ভ্যান/বোট নিয়ে যেতে হবে। এর আয়তন অনেক বড়ো এবং রুমগুলো থেকে মোটামুটি সমুদ্র দেখা যায়। এর রুমপ্রতি ভাড়া দুই হাজার পাঁচশো টাকা থেকে ছয় হাজার টাকা।
ফোন নাম্বার: 01859-397045
হ্যাভেন বিচ রিসোর্ট: এই হোটেলটির অবস্থান সেন্টমার্টিন এর জেটি ঘাট এর কাছে উত্তর বিচে। রুম ভাড়া ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা। ফোন নাম্বার: 01868066339
দ্য আটলান্টিক রিসোর্ট: (আগের নাম ছিলো লাবিবা বিলাস) সুপ্রশস্ত এই দ্বিতল রিসোর্টে এর অবস্থান উত্তর বিচে।  রুম ভাড়া রুম ভেদে দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকা। আটলান্টিক রিসোর্ট সেন্টমার্টিন হোটেল ফোন নাম্বার : 01719584899
সমুদ্র বিলাস রিসোর্ট: পশ্চিম বিচের এর রিসোর্টটি সাদামাটা আর দশটা রিসোর্টের মতোই। তবে এর একটি বিশেষত্ব আছে। এটি মূলত হুমায়ূন আহমেদ এর বাড়ি। এখানে রুম ভাড়া সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা।
ফোন নাম্বার: 01911-920666
প্রাসাদ প্যারাডাইস: জেটি ঘাট এর কাছে এটি আরেকটি বিচ রিসোর্ট। রুম পরিচ্ছন্ন। রুম ভাড়া পড়বে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। ফোন নাম্বার: 01556347711
নীল দিগন্তে রিসোর্ট: সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত সুন্দর একটি রিসোর্ট। এখানে সবগুলো রুমই টিনশেড। রুম ভাড়া দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকা। কোনো বিচ ভিউ রুম নেই।
ফোন নাম্বার: 01730-051005
সি ভিউ রিসোর্ট এন্ড স্পোর্টস: এই রিসোর্টের অবস্থান জেটি ঘাট এর পাশে উত্তর বিচেই। কম খরচে থাকার জন্য এটি ভালো একটি রিসোর্ট। রুম ভাড়া দেড় থেকে তিন হাজার টাকা।
ফোন নাম্বার:  01840-477957
হোটেল প্রাসাদ প্যারাডাইজ: এই দ্বিতল হোটেলটির অবস্থান ব্লু মেরিনের কিছুটা উত্তরে। কম খরচে থাকার জন্য এটিও ভালো একটি রিসোর্ট। বিচ থেকে একটু দূরে বলে অল্প কয়েকটি রুম থেকে সমুদ্রের খানিকটা দেখা যায়। প্রাসাদ প্যারাডাইজের প্রতিটি রুমের ভাড়া দুই হাজার থেকে চারহাজার টাকা।
ফোন নাম্বার: 01556-347711
হোটেল সী ইন: সেন্টমার্টিন বাজারের মূল রাস্তা ধরে পাঁচ মিনিট হাটলেই এই হোটেলটির অবস্থান। স্টুডেন্ট বা কম খরচে যারা থাকতে চান তাদের জন্য এটি ভালো একটি হোটেল। এখানে রুম ভাড়া ১২০০ থেকে ২৫০০ টাকা।
ফোন নাম্বার: 01764-190586
সমুদ্র কুটির: এটি পশ্চিম বিচ এর একটি বিচ রিসোর্ট। সেন্টমার্টিন জেটি ঘাট থেকে কিছুটা দূরে হলেও এটি বেশ ভালো একটি বিচ রিসোর্ট। রুম ভাড়া পড়োবে ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা। ফোন নাম্বার : 01858222521
সি প্রবাল রিসোর্ট: উত্তর বিচে কম খরচে থাকার আরেকটি ভালো রিসোর্ট সি প্রবাল। এর রুম ভাড়া ১২শ থেকে ২৫শ পর্যন্ত। স্টুডেন্ট কিংবা যারা কম খরচে থাকতে চান তারা এই রিসোর্টে থাকতে পারবেন। 
ফোন নাম্বার: 01756-208383
প্রিন্স হ্যাভেন রিসোর্ট: জেটি ঘাটের কাছে সেন্টমার্টিন হোটেল প্রিন্স হ্যাভেন একটি বাজেট রিসোর্ট। যারা কম খরচে সেন্টমার্টিন যেতে চান তারা এই রিসোর্টটি বেছে নিতে পারেন। রুম ভাড়া ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। ফোন নাম্বার +8801601222456
এগুলো ছাড়াও সেন্টমার্টিন দ্বীপে রাত্রিযাপনের জন্য কোরাল ব্লু, ড্রিম নাইট, সায়রি, অবকাশ, স্যান্ড শোর, ব্লু লেগুন, সিটিবি ইত্যাদি রিসোর্ট পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়।

আরো পড়ুন

ট্রাভেল বিষয়ে নিয়মিত আপডেট থাকতে, কক্সবাজার সাজেক সেন্টমার্টিন হোটেল ফোন নাম্বার সহ বিস্তারিত জানতে জয়েন করুন গ্রিন বেল্ট ট্রাভেলার্সদের নিয়মিত আড্ডাস্থল Green Belt The Travelers ফেসবুক গ্রুপে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো- সেন্টমার্টিন এর কোনো হোটেল বা রিসোর্ট এর সাথে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন নিজ দায়িত্বে করতে হবে। আর্থিক লেনদেন এর বিষয়ে গ্রিন বেল্ট কোনো দায় দায়িত্ব বহন করবে না।
error: Content is protected !!
Exit mobile version