বর্ষায় টাঙ্গুয়ার হাওর ছবির মতো সুন্দর। মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এইসময় টাঙ্গুয়ার হাওর কানায় কানায় ভরে উঠে। বিশাল জলরাশির মাঝখানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে হিজল ও করচ বন। হাওরের গ্রামগুলোকে এসময় মনে হয় যেন ছোট ছোট দ্বীপ। আজ থেকে কয়েক বছর আগেও টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ অনেক কষ্টকর ছিল। ছিলোনা আরামদায়ক কোনো নৌকা কিংবা আধুনিক সুযোগ সুবিধা। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওড়ে এখন অনেকগুলো আধুনিক হাউজবোট তৈরি হয়েছে। আজকে আমরা টাঙ্গুয়ার হাওরের অন্যতম সেরা হাউজবোট রূপকথার বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আলোচনা করবো।
হাউজবোটের নামঃ রূপকথা – Rupkotha The Floating Paradise
হোয়াটসঅ্যাপঃ 01886-363232
টাঙ্গুয়ার হাওর হাউজবোট রূপকথার বিস্তারিত
রূপকথা হাউসবোটে থাকার জন্য ৭টি কেবিন রয়েছে। প্রতিটি ডোরলক কেবিনের সাথে আছে এটাচ বেলকনি। এটাচ বেলনির বিষয়টা হাওরের অন্য নৌকার সাথে রূপকথার পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।
৭টি কেবিনের মধ্যে ২টি কেবিনে আছে এটাচ বাথ। বাকি ৫টি কেবিনের জন্য আলাদা ২টি ওয়াশরুম আছে। এই টাঙ্গুয়ার হাওরের নৌকায় দ্বিতীয় তলায় আলাদা লবির ব্যবস্থা আছে। যেখন থেকে ৩৬০ ডিগ্রি ভিউতে টাঙ্গুয়ার হাওর এর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
রূপকথায় দিনে ১৮ ঘন্টা জেনারেরটর সার্ভিস দেয়। শুধুমাত্র দিনের বেলায় যখন সবাই শিমুল বাগান টেকেরঘাট কিংবা নীলাদ্রি লেকে ঘুরতে যায় তখন পাওয়ার সাপ্লাই বন্ধ থাকে।
টাঙ্গুয়ার হাওড় হাউজবোট রূপকথা প্যাকেজ
রূপকথা হাউসবোট এর ধারণ ক্ষমতা ১৮ জন। আপনি চাইলে ফুল বোট রিজার্ভ করতে পারবেন। সদস্য সংখ্য কম হলে হাউজবোট রিজার্ভ করলে খরচ অনেক বেশি হবে। সেক্ষেত্রে আলাদা আলাদা প্যাকেজ নিতে পারবেন। রূপকথা হাউজবোট এর টাঙ্গুয়ার হাওর ট্যুর প্যাকেজ এর বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলো-
শুক্র-শনিবার (১ রাত ২ দিন)
কাপল কেবিন | উইন্ডো ভিউ | ৫০০০ টাকা জনপ্রতি
কাপল কেবিন | এটাচড বেলকনি | ৬০০০ টাকা জনপ্রতি
কাপল কেবিন | এটাচড বাথ & বেলকনি | ৭৫০০ টাকা জনপ্রতি
কাপল কেবিন | এটাচড বেলকনি | ৫০০০ টাকা জনপ্রতি
কাপল কেবিন | এটাচড বাথ & বেলকনি | ৬৫০০ টাকা জনপ্রতি
কাপল কেবিন | এটাচড বেলকনি | ৫০০০ টাকা জনপ্রতি
কাপল কেবিন | এটাচড বাথ & বেলকনি | ৬৫০০ টাকা জনপ্রতি
খাবার মেনু
স্ন্যাকসঃ নুডুলস, চা, সিজনাল ফল
টাঙ্গুয়া হাওর ট্যুর প্যাকেজে যা যা থাকছে
যোগাযোগ
01886363232
01869649817
01810137002
টাংগুয়া হাওড় ভ্রমণ টিপস ও সতর্কতা
⦿ যাদুকাটা নদী থেকে পাথর উত্তোলন এর কারণে এই নদীর নিচে অনেকগুলো গর্ত আছে। উপর থেকে কিছু বোঝা যায়না, কিন্তু নিচে তীব্র স্রোত। তাই লাইফ জ্যাকেট ছাড়া নদীতে নামবেন না। যেকোনো টাঙ্গুয়ার হাওর হাউজবোট এর ভিতরেই লাইফ জ্যাকেট পাবেন।
⦿ লাকমাছড়া মূলত ইন্ডিয়ান অংশে পড়েছে। তাই লাকমাছড়ায় গেলে সাইনবোর্ড দেওয়া নির্দিষ্ট অংশ পর্যন্ত ভ্রমণ করুন। ভারতের অংশে প্রবেশ কবেন না।
⦿ হাওরে কোনো ভাবেই মাইক এমনকি স্পীকারও ব্যাবহার করে গান বাজাবেন না। এটা দন্ডনীয় অপরাধ। এছাড়া এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়।
⦿ ভ্রমণের সময় ছাতা নিন সাথে। রোদ বৃষ্টি যেকোনো সময় কাজে দিবে। মাঝি ও স্থানীয়দের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার করুন।
⦿ জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত হাওরে কানায় কানায় পানি থাকে। তাই এই সময়টার মধ্যেই টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ করুন। বছরের অন্য সময় এখানে পানি থাকেনা। শুকনো মৌসুমে পাখি দেখতে অনেক পর্যটক আসেন। তবে তখন নৌকা চলে না।
ট্রাভেল এজেন্সি
এছাড়া যারা ঝামেলা এড়াতে ট্যুর এজেন্সির মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন তারা দেশের সবচেয়ে ফিমেইল ফ্রেন্ডলি ট্যুর অর্গানাইজার গ্রিন বেল্ট এর টাঙ্গুয়া হাওর ট্যুর প্যাকেজটি দেখতে পারেন। এটি ১ রাত ২ দিনের ভ্রমণ প্যাকেজ। ভ্রমণ আপনার স্বপ্ন। আপনার স্বপ্নগুলো স্মৃতি হোক।
আরো পড়ুন